শরীরচর্চা শিক্ষা দপ্তর
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের খেলাধূলার মাধ্যমে চিত্ত বিনোদন, সুস্বাস্থ্য ও শারীরিকভাবে শক্তিশালী তথা দেশের সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে সহযোগিতা করা এবং দেশ বিদেশে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের মান ও ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করার লক্ষ্যে 2011 সালে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শরীরচর্চা শিক্ষা দপ্তর প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রাথমিক অবস্থায় মাইকেল মধুসূদন দত্ত কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার কাম একাডেমী ভবন এর নিচতলায় অত্র দপ্তরের কার্যক্রম পরিচালিত হলেও বর্তমানে বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান জিনেসিয়াম এ স্থায়ী ভাবে স্থানান্তরিত করা হয় । ভবনটি অত্র দপ্তরের নিজস্ব ভবন যা বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম জিমনেসিয়াম। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের স্মৃতিকে অম্লান রাখার অংশ হিসেবে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অত্যাধুনিক ও আন্তর্জাতিক মানের এই জিমনেসিয়ামের নাম প্রাথমিক পর্যায়ে শেখ রাসেল জিমনেসিয়াম নামে নামকরণ করে।
পরবর্তীতে 28/02/2025 খ্রি. অনুষ্ঠিত রিজেন্ট বোর্ডের 105 তম সভার সিদ্ধান্ত 105/08 মোতাবেক শেখ রাসেল জিমনেসিয়ামের পরিবর্তে মুক্তিযুদ্ধের সর্বোচ্চ খেতাবপ্রাপ্ত বৃহত্তর যশোর তথা বাংলাদেশের সূর্য সন্তান বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমানের নামে নামকরণ করা হয়। তিনি ঝিনাইদাহ জেলার মহেশপুর উপজেলার খদ্দখালিশপুর গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন।
আধুনিক এই জিমনেসিয়াম দুই ভাগে বিভক্ত। এক অংশে টেবিল টেনিস, ব্যাডমিন্টন, বাস্কেটবল, ভলিবল খেলার সুব্যবস্থা আছে। যেখানে শিক্ষার্থীসহ শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ খেলার সুযোগ সুবিধা পেয়ে থাকে। অন্য অংশে একটি সু-সজ্জিত Strength and Conditioning Hall আছে এখানে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সকলের ব্যায়াম করার সুব্যবস্থা রয়েছে। এই দপ্তরের উল্লেখযোগ্য কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্ত:বিভাগ ক্রীড়া প্রতিযোগিতাসহ বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা আয়োজন করা। এছাড়াও আন্ত:বিশ্ববিদ্যালয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ এবং প্রয়োজনে আয়োজন করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা। বর্তমানে অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের কেমিকৌশল বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো: রাফিউল হাসান এই দপ্তরের পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া অত্র দপ্তরে একজন উপ-পরিচালক, একজন সহকারী পরিচালক, চারজন ফিজিক্যাল ইন্সট্রাক্টর, একজন সেকশন অফিসার (9ম গ্রেড ) ও চারজন কর্মচারী কর্মরত আছে।