Office of the Director of Planning, Development and Works

About Office


যশোর শহর থেকে প্রায় ১২ কিমি দূরে সদর উপজেলা সংলগ্ম যশোর বিজ্ঞান ও প্রযু্ক্তি বিশ্ববিদ্যালয়টি অবস্থিত। বিশ্ববিদ্যালয়টি ২০০৭ সালের ২৫ জানুয়ারী সরকারী আদেশের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠাতা লগ্নে বিভিন্ন দপ্তর (তার মধ্যে পরিকল্পনা, পরিকল্পনা, উন্নয়ন ও পূর্ত দপ্তর) এবং ২০০৮-২০০৯ শিক্ষাবর্ষে ১৮ জন শিক্ষক, ২০০ জন ছাত্র-ছাত্রী নিয়ে ৪টি বিভাগে (কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল, পরিবেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, অণুজীব বিজ্ঞান, ফিশারিজ এন্ড মেরিন বায়োসায়েন্স) এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়।

“যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন প্রকল্প (সংশোধিত)” প্রকল্পের আওতায় বর্তমান অগ্রসর বিশ্বের সাথে সঙ্গতি রেখে জাতীয় পর্যায়ে উচ্চ শিক্ষা ও আধুনিক বিজ্ঞান চর্চা ও গবেষণার সুযোগ-সুবিধা সৃষ্টি ও সম্প্রসারণ এবং বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক শিক্ষা সম্প্রসারণের লক্ষ্যে সরকারের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা হয়।

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় যশোর শহর থেকে দূরে অবস্থিত হওয়ায় এবং আবাসিক হলের সংখ্যা কম থাকায় অনেক ছাত্র-ছাত্রীদের শহরে কষ্ট করে ম্যাসে থাকতে হয়। বর্তমান বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক, সহকারী অধ্যাপক ও প্রভাষক মিলিয়ে মোট শিক্ষক সংখ্যা ২০৮ জন, ২৬ টি বিভাগে প্রায় স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে ৩,৮৪৬ জন ছাত্র-ছাত্রী লেখাপড়া করে। যাদের মধ্যে এম.ফিল ০৩ জন এবং ০৬ জন পিএইচ.ডি.। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণার গুণগতমান সমুন্নত রাখা এবং দেশের আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটে ছাত্র-ছাত্রীদেরকে আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষাদানে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। 


৩৫ একর জমির উপর যশোর-চৌগাছা সড়কের পাশে প্রাকৃতিক পরিবেশে এই ক্যাম্পাসে বিভিন্ন ভবন গড়ে উঠেছে। এখানে কোলাহলমুক্ত শান্ত ও মনোরম পরিবেশে নির্বিঘ্নে লেখাপড়া করার সুযোগ রয়েছে। যশোর শহরের নিকট শিক্ষার আধুনিক পরিবেশসহ সব নাগরিক সুযোগ-সুবিধা থাকায় ছাত্র-ছাত্রীরা এই বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করতে আগ্রহী।

গত বছর প্রায় এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার এর বেশি ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি পরীক্ষার জন্য আবেদন করে। যার মধ্যে ৮১০ জন ভর্তির সুযোগ পায়। বর্তমান প্রেক্ষাপটে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে আরোও ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি হওয়া আবশ্যক।

এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ৭টি অনুষদ রয়েছে। অনুষদগুলো হলো : (১) প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদ (২) জীব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদ (৩) ফলিত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদ (৪) স্বাস্থ্য বিজ্ঞান অনুষদ (৫) বিজ্ঞান অনুষদ (৬) ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ (৭) কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ । এছাড়াও ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া ইনস্টিটিউট রয়েছে।

ভর্তিকৃত ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য আবাসিক, একাডেমিক ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা সৃষ্টি করাই মূল উদ্দেশ্য। গবেষণাগারের সুযোগ সুবিধা সৃষ্টি, বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতি ক্রয় এবং যথাযথ বিনোদনমূলক ব্যবস্থা করা। খেলাধূলার মাধ্যমে মানসিক বিকাশ সাধন করার জন্য এ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম  ফিজিক্যাল এডুকেশন এন্ড স্পোর্টস সায়েন্স বিভাগ খোলা হয়শৃঙ্খলাবোধ তৈরিতে, চরিত্র গঠনে, সম্প্রীতির বন্ধন তৈরিতে,জাতীয়তাবোধ তৈরিতে এবং বিশ্বভ্রাতৃত্ববোধ তৈরিতে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

ল্যাবরেটরীর আধুনিকায়ন করা, একাডেমিক ভবন, প্রশাসনিক ভবন, ইন্টারনেট সুবিধা বৃদ্ধি করা, লাইব্রেরী আধুনিকীকরণ করা, যুগোপযোগী নতুন নতুন বিভাগ ও ইনস্টিটিউট খোলা এবং ইউটিলিটি সুবিধা বৃদ্ধি করা। এক কথায় শিক্ষার গুণগতমান বৃদ্ধি করে দক্ষ মানব সম্পদ সৃষ্টি করা। উল্লেখ করা যেতে পারে যে, পরিকল্পনা, উন্নয়ন ও পূর্ত দপ্তর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা ও সহযোগিতায় বিভিন্ন প্রকল্প সফলভাবে সমাপ্ত করেছে এবং চলমান প্রকল্প বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার গুণগত ও পরিমাণগত মান অর্জনে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে যা জাতীয় এবং শিক্ষা ক্ষেত্রে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের একটি অন্যতম উদ্দেশ্য। এছাড়া প্রকল্পের শিক্ষা ক্ষেত্রে যথেষ্ট উদ্দেশ্যমূলকভাবে সম্পৃক্ততা রয়েছে। আর প্রকল্প বাস্তবায়নে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে পরিকল্পনা, উন্নয়ন ও পূর্ত দপ্তর।