Campus News

অসত্য ও বানোয়াট তথ্য দিয়েছেন এরিন: যবিপ্রবি কর্তৃপক্ষ

May 23, 2019

Print


যশোর (২৩ মে, ২০১৯): মহামান্য হাইকোর্টের আদেশ অমান্য, বহিষ্কৃত একজন ছাত্রকে পরীক্ষা দিতে না দেওয়া এবং মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো: আনোয়ার হোসেনকে জড়িয়ে সংবাদ সম্মেলনে অসত্য, বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও কল্পিত তথ্য দিয়েছেন যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (যবিপ্রবি) থেকে শিক্ষক লাঞ্ছনা ও অসদাচরণের দায়ে আজীবন বহিস্কৃত শিক্ষার্থী হুমায়রা আজমিরা এরিন।

আজ বৃহস্পতিবার বিভিন্ন গণমাধ্যমে এরিনের বক্তব্য প্রকাশিত হওয়ার পর তার বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে যবিপ্রবি কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে এসব তথ্য জানিয়েছেন।

গতকাল বুধবার যশোর প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যের শুরুতে এরিন দাবি করেন, মহামান্য হাইকোর্টের স্থগিতাদেশের কপিসহ আবেদন করলেও গতকাল বুধবার বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী হারুন অর রশীদকে পরীক্ষায় অংশ নিতে দেওয়া হয়নি। যবিপ্রবি কর্তৃপক্ষ হাইকোর্টের আদেশ অমান্য করেছে। প্রকৃত সত্য হলো, হারুন অর রশীদ স্বশরীরে না এসে একজন বাহকের মাধ্যমে তার বিভাগে ওই আবেদনপত্র জমা দেন। বিভাগে তার পরীক্ষার প্রবেশপত্র প্রস্তুতও ছিল। কিন্তু তিনি প্রবেশপত্র সংগ্রহই করেননি। নিজ বিভাগে এসে পরীক্ষার প্রবেশপত্র সংগ্রহের চেষ্টা না করে, তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকে পরীক্ষায় অংশ নিতে দেওয়া হয়নি মর্মে ফেসবুকে লাইভ করে চলে যান এবং যশোর প্রেসক্লাবে গিয়ে এরিনের সাথে সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেন। আর বুধবার সকাল ১০টার সময় পরীক্ষা শুরু হলেও বিভাগ কর্তৃক প্রেরিত হয়ে আবেদনপত্র উপাচার্য মহোদয়ের দপ্তরে পৌঁছায় বেলা ১১টায়। তা ছাড়া মহামান্য হাইকোর্টের আদেশের কপি এখনো যবিপ্রবি কর্তৃপক্ষের কাছে এসে পৌঁছায়নি। তাহলে যবিপ্রবি কর্তৃপক্ষ কিভাবে মহামান্য হাইকোর্টের আদেশ অমান্য করলো? রায়ের কপি পেলে অবশ্যই মহামান্য আদালতের প্রতি যবিপ্রবি কর্তৃপক্ষ যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করবে।

এরিন অভিযোগ করেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো: আনোয়ার হোসেন পরিকল্পিতভাবে তাদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করেছেন। তার উপস্থাপিত এ তথ্যও সর্বৈব মিথ্যা। কারণ গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের সুপারিশক্রমে ডিসিপ্লিনিরারি কমিটির অগ্রায়নের ভিত্তিতে তাদের অপরাধের মাত্রা অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতি-নির্ধারণী ফোরাম রিজেন্ট বোর্ড বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয়। এখানে এককভাবে ব্যক্তি বিশেষের পরিকল্পনার কোনো সুযোগ নেই।

সংবাদ সম্মেলনে এরিন নৈতিকতার শেষ ধাপে নেমে আবারও উপাচার্য মহোদয়ের ‘একা ছাত্রী হলে’ প্রবেশের বিষয়টি উল্লেখ করেছেন। এ বিষয়ে ইতিপূর্বে শেখ হাসিনা ছাত্রী হলের প্রভোস্ট ড. সেলিনা আক্তার বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটসহ বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় ঘটনার প্রকৃত তথ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন। আর এরিন যে সমস্ত ছাত্রীদের হলের গেট থেকে জোর করে ধরে এনে মাননীয় উপাচার্যের বিরুদ্ধে মৌখিক অভিযোগ করতে বাধ্য করেছিল, সেই তথ্যও হল কর্তৃপক্ষের কাছে রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্ব গ্রহণের পর, মাননীয় উপাচার্য শুধু মেয়েদের হলেই নয়, ছেলেদের হলেও প্রভোস্টবডি ছাড়া তিনি কখনোই যাননি। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নির্বাহী হওয়ায় মাননীয় উপাচার্যের একা কোথাও যাওয়া সম্ভপর নয়, তার সাথে কেউ না কেউ থাকেই। পিতৃসম কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে এরূপ অভিযোগ তার নীচু মানসিকতার পরিচয় বহন করে।

সংবাদ সম্মেলনের শেষের দিকে হুমায়রা আজমিরা এরিন ‘আইএস চক্রের’ বিষয়টি এনে ‘আকাশ-কুসুম’ গল্পের অবতারণা করেছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুপারিশক্রমে মহামান্য রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ আগামী চার বছরের জন্য অধ্যাপক ড. মো: আনোয়ার হোসেনকে ২০১৭ সালের ২০ মে যবিপ্রবির উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ প্রদান করেছেন। এ ধরনের পদে কাউকে নিয়োগ প্রদানের পূর্বে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের সুস্পষ্ট যাচাই-বাছাই ব্যতিত কেউই নিয়োগ পান না। যবিপ্রবির বর্তমান উপাচার্য মহোদয় বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) খন্ডকালীন সদস্য। একইসঙ্গে তিনি খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের রিজেন্ট বোর্ড/সিন্ডিকেটের মহামান্য রাষ্ট্রপতি কর্তৃক মনোনীত সম্মানিত সদস্য। সুতরাং তাঁর বিরুদ্ধে এ রকম একটি ভিত্তিহীন ও কাল্পনিক তথ্য পক্ষান্তরে মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে অসম্মান করার শামিল। শুধুমাত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম ক্ষুন্ন করতে ও মানসকি চাপ বাড়াতে নৈতিকতার সর্বশেষ ধাপে নেমে মাননীয় উপাচার্যের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ উপস্থাপন করা হয়েছে। তাই বর্তমান পরিস্থতিতে সমাজের বিশিষ্ট নাগরিক, সুধী সমাজ, সাংবাদিক, শিক্ষার্থী-অভিভাবকসহ সবাইকে সচেতন ও সজাগ থাকার আহ্বান জানানো যাচ্ছে।

বার্তা প্রেরক




মো: আব্দুর রশিদ

জনসংযোগ কর্মকর্তা

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়,যশোর-৭৪০৮।



অন্যান্য সংবাদ

Load More