বিভিন্ন আয়োজনে যবিপ্রবিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন করা হয়। ছবি: রাজিব মন্ডল, ফটোগ্রাফার, যবিপ্রবি।

বর্ণাঢ্য আয়োজনে যবিপ্রবিতে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন

দুর্নীতি করব না, সহ্য করব না: যবিপ্রবি উপাচার্য

Mar 17, 2020

Print

(যশোর, ১৭ মার্চ, ২০২০ খ্রি.): যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ার হোসেন বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে আমাদের একটাই শপথ নিতে হবে- আমরা কেউ দুর্নীতি করব না। দুর্নীতিকে সহ্য করব না, প্রশ্রয় দেব না। বিশ্ববিদ্যালয়ের সামীনার মধ্যে দুর্নীতি হতে দেব না। যবিপ্রবি সম্পূর্ণ দুর্নীতি মুক্ত। জাতির পিতার প্রতি শ্রদ্ধা রেখে এই একটা কাজ করতে পারলেই আমাদের অনেক কিছু করা হয়ে যাবে।  


আজ মঙ্গলবার দুপুরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে যবিপ্রবির কেন্দ্রীয় মসজিদে দোয়া-মোনাজাত পূর্ব সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ার হোসেন এসব কথা বলেন। মরণঘাতি করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে জন্মশতবার্ষিকীর সকল কর্মসূচিই অত্যন্ত সীমিত পরিসরে পালন করা হয়।


অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ার হোসেন বলেন, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে আমার সময়ে শিক্ষক থেকে শুরু করে চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীর পর্যন্ত সবাই নিজের যোগ্যতায় চাকরি পেয়েছেন। লিখিত, ব্যবহারিক ও মৌখিক পরীক্ষায় সর্বোচ্চ অবস্থানে থাকার কারণে তাদের চাকরি হয়েছে। অর্থাৎ গুণ, মেধা ও যোগ্যতায় তাদের চাকরি হয়েছে, টাকা দিয়ে নয়। কেউ সংক্ষুব্ধ হলে এ বিষয়ে চ্যালেঞ্জ করতে পারেন। এ সংক্রান্ত নথি প্রশাসনের কাছে সংরক্ষিত রয়েছে।

অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন তাঁর বক্তৃতায় জাতির পিতার দুর্নীতির বিরুদ্ধে দেওয়া বিভিন্ন বক্তব্য তুলে ধরেন। তিনি বলেন, সকাল ধরে যবিপ্রবিতে আমরা বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছি। এগুলো জাতির পিতার কাছে পৌঁছাবে না। বরং বঙ্গবন্ধুর রেখে যাওয়া আদর্শ অনুসরণ করে তাঁর রেখে যাওয়া বাঙালির জন্য কাজ করলেই তাঁর আত্মা শান্তি পাবে।  


জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকীর কর্মসূচি শুরু হয় সকাল সাড়ে ৬টায় জাতীয় পতাকা ও বিশ্ববিদ্যালয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে। সকাল ৮টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরালে যবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ার হোসেন পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ তাদের নেতা-কর্মীদের নিয়ে জাতির পিতার ম্যুরালে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপরে যবিপ্রবি শিক্ষক সমিতি, কর্মকর্তা সমিতি, কর্মচারী সমিতি, শহীদ মসিয়ূর রহমান হল, শেখ হাসিনা ছাত্রী হলসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ, দপ্তর, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনসমূহ জাতির পিতার ম্যুরালে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করে।

সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থাপিত ক্ষণগণনার ঘড়ির সামনে জন্মদিনের গানের চিরায়ত সুরে জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে শত পাউন্ডের কেক কাটা হয়। কেকটি জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে বাহারি নকশায় বিশেষভাবে তৈরি করা হয়। সকাল সাড়ে ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে একটি কৃষ্ণচূড়া গাছ লাগানোর মাধ্যমে শত বৃক্ষ রোপণ উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ার হোসেন। বাকি বৃক্ষগুলো যবিপ্রবি স্কুল অ্যান্ড কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন আমবটতলা-সাজিয়ালি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে যবিপ্রবি ছাত্রলীগের তত্ত্বাবধানে বিতরণ করা হয়। বাদ জোহর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসিজদে জাতির পিতা ও তাঁর পরিবারের নিহত সদস্যদের রূহের মাগফিরাত কামনায় দীর্ঘ দোয়া-মোনাজাত করা হয়। দোয়া-মোনাজাত পরিচালনা করেন মাওলানা মো. আকরামুল ইসলাম।


জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে যবিপ্রবির শহীদ মসিয়ূর রহমান হল ও শেখ হাসিনা ছাত্রী হলের আবাসিক শিক্ষার্থীদের উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হয়। এ ছাড়া দুই হলের উদ্যোগে যবিপ্রবি ছাত্রলীগের তত্ত্বাবধানে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন একটি ইয়াতিম খানা ও হাফিজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদেরও উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হয়। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির সাথে সমন্বয় করে রাত ৮টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে ১০০টি আতশবাজি প্রদর্শনের আয়োজন করা হয়। 

বার্তা প্রেরক


 

মো: আব্দুর রশিদ

জনসংযোগ কর্মকর্তা

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়,

যশোর ৭৪০৮, বাংলাদেশ।


অন্যান্য সংবাদ

Load More